
মাছের নাম দিয়ে উত্তরবঙ্গে অনেক জায়গা রয়েছে। যেমন কাঠামবাড়ির কাছে মাগুরমারি, হলদিবাড়ির কাছে বোয়ালমারি, পুটিমারি। তেমনই মোয়ামারি। মোয়া মানে মৌরলা মাছ। স্থানীয়রা বলেন মৌয়া।
ময়নাগুড়ি সদর শহর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে এই মোয়ামারি। রিকশায় যাওয়া যায়। একেবারে গ্রামীণ পরিবেশ।
সদর থেকে মোয়ামারি ইকো ভিলেজ রিসর্টে যাওয়ার পথ গাছগাছালিতে ভরা। আছে বাশবন। ছোট্ট টিলার ওপর রিসর্ট। অদূরে জলাভূমি। চার দিকে শিশু, জারুল গাছ।
রিসর্টটিতে দু’খানা বাশের ঘর। ঘরে ঢুকলে মনে হবে শিল্পীর স্টুডিও। বাইরে মাচান। দূর থেকে শোনা যায় রেলের হুইস্ল। ইচ্ছে হলে মাচানে বসেই রাতের খাবার খাওয়া যায়।
এখানে জর্দা ভ্যালি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উদ্যোগে নারী-পুরুষ বাশ থেকে হস্তশিল্পের নানা জিনিস তৈরি করেন। পাওয়া যায় বাশের তৈরি মোড়া, টুল। ঘর সাজানোর জন্য পাওয়া যায় কাটুম কুটুম।
যাতায়াত
ময়নাগুড়ি থেকে মোয়ামারি মাত্র ৩ কিলোমিটার।
প্রথমে বাসে কিংবা ট্রেনে করে পৌছতে হবে ময়নাগুড়ি সদরে। সেখান থেকে রিকশা করে সটান ইকো ভিলেজ রিসর্টে।
ময়নাগুড়ি বাইপাসে নামলে একটু বেশি দূর হবে।
শিলিগুড়ি থেকে ময়নাগুড়ি পর্যন্ত প্রচুর বাস আছে।
থাকবার জায়গা
মোয়ামারি ইকো ভিলেজ রিসর্ট
যোগাযোগ: উজ্জ্বল শীল
ফোন: ৯৪৩৪৪-১২৫১৭
মাথা পিছু দৈনিক অনুমানিক খরচ ১২০০ টাকা। থাকা-খাওয়া মিলিয়ে।
(আপাতত রিসর্ট সংস্কারের কারণে বন্ধ রয়েছে। তবে পুজোর আগেই তা খুলে যাবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।)
আশেপাশে
ময়নাগুড়ির মন্দিররাজি
নব আনন্দ নিকেতন
খুকসিয়া পার্ক দেখে রামসাই বনবিস্ত
মেদলা ওয়াচ টাওয়ার হয়ে কালীপুর বনবিস্ত ঘোরা যায়।
No comments:
Post a Comment