Saturday, 31 March 2012

খিচুড়ি ও ভাজা ইলিশ




খিচুড়ি ও ভাজা ইলিশ


উপকরণঃ
১. মুগডাল ১ কাপ
২. চাল ২ কাপ
৩. আদা কুচি ১ চা চামচ
৪. পেঁয়াজ কুচি ৪ টেবিল চামচ
৫. হলুদ গুঁড়ো আধ চা চামচ
৬. কাঁচা লঙ্কা ৩-৪টি
৭. তেজপাতা ২টি
৮. দারচিনি ২ টুকরো
৯. এলাচ ২-৩টি
১০. লবণ স্বাদমতো
১১. তেল ২ টেবিল চামচ
১২. জল পরিমাণমতো।

প্রণালীঃ চাল ও ডাল ভালো করে ধুয়ে জল ঝরাতে দিন। সস্‌প্যানে তেল দিয়ে তাতে আদা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ, তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ দিয়ে ভেজে নিন এবং চাল-ডাল দিন। কিছুক্ষণ ভুনে ৬ কাপ গরম জল দিয়ে তাতে লবণ ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর নেড়ে দিয়ে গ্যাসের আঁচ কমিয়ে দিন।

ভাজা ইলিশঃ ২ টুকরো ইলিশ মাছে হলুদ গুঁড়ো ও লবণ মেখে তেলে দুই পিঠ ভেজে কাটা পেঁয়াজ ছড়িয়ে দিন। খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন।

নারকেল খিচুড়ি




নারকেল খিচুড়ি 


উপকরণ :
১. চাল ১ কাপ
২. লবন ১ চা চামচ
৩. ডাল ১/২ কাপ
৪. কাঁচা লঙ্কা ২টা
৫. নারকেল ১/২ কাপ
৬. আলু ১কাপ
৭. হলুদ ১/২চা চামচ
৮. লঙ্কার গুড়ো ১ চা চামচ
৯. আদা বাটা ১ চামাচ
১০. রসুন বাটা ১ চা চামচ
১১. পেঁয়াজ কুচি ১/৪ কাপ
১২. বাটার অয়েল ১ টেবিল চামচ
১৩. তেল ১/৪ কাপ।

প্রণালী :  পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, আদা রসুন বাটা, হলুদ, লঙ্কার গুড়ো দিয়ে কষিয়ে চাল, ডাল আলু দিন। ১০ মিনিট কষিয়ে গরম জল দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। ১০ মিনিট পর নামিয়ে পরিবেশন করুন।

টক-ঝাল থাই স্যুপ













টক-ঝাল থাই স্যুপ


উপকরণ:
১. মুরগির স্টক ৮ কাপ
২. চিংড়ি (লেজসহ) আধ কাপ
৩. মুরগি (ছোট টুকরো) ১ কাপ
৪. পাতলা ও গোল করে কাটা গাজর ১ কাপ
৫. কাঁচা লঙ্কা ৩-৪টি (ফালি করা)
৬. থাই গ্রাস ৪-৫টি
৭. চিলি সস ২ টেবিল-চামচ
৮. টম্যাটো সস ২ টেবিল-চামচ
৯. সয়াসস ১ টেবিল-চামচ
১০. মাখন ১ টেবিল চামচ
১১. লেবুর রস ২ টেবিল-চামচ
১২. ডিম ১টি
১৩. কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল-চামচ
১৪. চিনি ২ চা-চামচ
১৫. স্বাদ লবণ আধ চা-চামচ
১৬. লবণ স্বাদমতো
১৭. ভাজা রসুনের পেস্ট ১ চা-চামচ।

প্রণালী :  ডিম, মাখন ও রসুন ছাড়া বাকি সব উপকরণ স্টকে দিয়ে ফুটিয়ে স্যুপ তৈরি করুন। ভালোভাবে ফুটলে ডিম ফেটে আস্তে আস্তে স্যুপে মেশাতে হবে। স্যুপ ঘন হয়ে এলে আঁচ কমিয়ে দিন। মাখন গরম করে রসুনকুচি বাদামি করে ভেজে পেস্ট তৈরি করুন এবং স্যুপে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।

মুরগির স্টকঃ
এক কাপ মুরগির হাড় নিয়ে দশ কাপ জলেতে সেদ্ধ করুন। জল শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে গেলে নামিয়ে ছেঁকে নিন। হয়ে গেল মুরগির স্টক।

ডিমের কোপ্তা কারি
















ডিমের কোপ্তা কারি


উপকরণ:
১. বড় ডিম ৬টি
২. গুড়ো দুধ এক কাপ
৩. মিষ্টি দই সিকি কাপ
৪. লবণ পরিমাণমতো
৫. ঘি ২ টেবিল চামচ
৬. সাদা গোলমরিচ গুড়ো ১ চা চামচ
৭. জায়ফল গুঁড়া সামান্য।

প্রণালী:  ডিম ফেটিয়ে নিয়ে সব উপকরণ মিলিয়ে আবারও ফেটিয়ে পুডিংয়ের মোল্ডে অথবা সসপ্যানে ঘি অথবা মাখন লাগিয়ে ডিমের মিশ্রণ ঢেলে দিয়ে ওভেনে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ৩০-৩৫ মিনিট বেক করতে হবে অথবা ভাপে সেদ্ধ করেও করা যায়। ঠান্ডা হলে প্লেটে ঢেলে ছুরি দিয়ে ছোট ছোট টুকরো করতে হবে।

গ্রেভির জন্য:
তেল আধ কাপ
ঘি সিকি কাপ
টক দই আধ কাপ
মিষ্টি দই ২ টেবিল চামচ
লবণ পরিমাণমতো
পেঁয়াজ কুচি আধ কাপ
আদা বাটা ১ চা চামচ
রসুন বাটা আধ চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ
গরম মসলার গুড়ো ১ চা চামচ
সাদা গোলমরিচ গুড়ো ১ চামচ
লাল লঙ্কার গুড়ো ১ চা চামচ।

প্রণালী:  তেল ও ঘি গরম করে পেঁয়াজ বাদামি রং করে ভেজে সব বাটা মসলা ভালো করে কষিয়ে গুঁড়া মসলা দিয়ে আবার কষাতে হবে। কিছুক্ষণ কষিয়ে দেড় কাপ জল দিতে হবে। ফুটে উঠলে বাদাম বাটা দই দিয়ে ডিমের টুকরো দিতে হবে। তেলের ওপর এলে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে কিছুক্ষণ গ্যাসে রেখে নামাতে হবে।

পাঁচমিশালি সবজি আর ডিমের পুর




পাঁচমিশালি সবজি আর ডিমের পুর


উপকরণ:
১. বড় ডিম ৪টি
২. মুরগির মাংসের মিহি কিমা ৪ টেবিল চামচ
৩. কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ
৪. লবণ পরিমাণমতো
৫. চিনি আধ চামচ।

প্রণালী:   কিমা, কর্নফ্লাওয়ার, লবণ, চিনি একসঙ্গে মাখিয়ে ডিম ফেটিয়ে ডিমের সঙ্গে ভালোভাবে মিলিয়ে ব্যাটার তৈরি করে ১০-১২ মিনিট রাখতে হবে।

পুরের উপকরণ:
১. ফুলকপি আধ কাপ
২. গাজর আধ কাপ
৩. বরবটি আধ কাপ
৪. বাঁধাকপি আধ কাপ
৫. মটরশুঁটি আধ কাপ
৬. মাশরুম আধ কাপ
৭. পেঁয়াজ কুচি আধ কাপ
৮. কাঁচা লঙ্কা কুচি ১ টেবিল চামচ
৯. গোলমরিচ গুড়ো ১ চা চামচ
১০. লবণ পরিমাণমতো
১১. তেল ৪ টেবিল চামচ
১২. কারি পাউডার ১ চা চামচ
১৩. টম্যাটো সস ২ টেবিল চামচ
১৪. মুরগির কিমা আধ কাপ

প্রণালী : সব সবজি আধ সিদ্ধ করে নিতে হবে। তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে কিমা ভুনতে হবে। এবার পর্যায়ক্রমে সব সবজি ও বাকি উপকরণ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে। ফ্রাইং প্যান গরম করে সামান্য তেল মাখিয়ে ১ কাপ ব্যাটার ফ্রাইপ্যানে দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গোলা ছড়িয়ে দিতে হবে। এক পিঠ হলে উল্টিয়ে দিতে হবে। এভাবে সব কয়টি করতে হবে। রুটির একপাশে সবজির পুর রেখে রোল করে গোলানো ময়দা দিয়ে আটকিয়ে দিতে হবে। প্রিহিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ১০ মিনিট রাখতে হবে।

ডিমের কাশ্মীরি কোরমা




ডিমের কাশ্মীরি কোরমা

উপকরণ:
১. সিদ্ধ ডিম ৬টি
২. টক দই আধ কাপ
৩. মিষ্টি দই সিকি কাপ
৪. পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ
৫. পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
৬. আদা বাটা ১ চা চামচ
৭. বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ
৮. ঘি সিকি কাপ
৯. তেল আধ কাপ
১০. গরম মসলার গুড়ো ১ চা চামচ
১১. কিসমিস ২ টেবিল চামচ
১২. লবণ পরিমাণমতো
১৩. গোলমরিচ গুড়ো ১ চা চামচ।

প্রণালী:   তেল, ঘি গরম করে পেঁয়াজ বাদামি রং করে ভেজে সব বাটা মসলা কষিয়ে গুড়ো মসলা দিয়ে ১ কাপ জল দিতে হবে। ফুটে উঠলে বাদাম বাটা ও দই দিতে হবে। কিসমিস ও ডিম দিয়ে নামাতে হবে।

পোচ ডিম ভুনা

পোচ ডিম ভুনা

উপকরণ:
১. ডিম ৪টি
২. পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
৩. পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
৪. আদা ও রসুন বাটা ১ চা-চামচ
৫. দারচিনি ২ টুকরো
৬. এলাচ ২টি
৭. হলুদের গুড়ো আধ চা-চামচ
৮. লঙ্কার গুড়ো আধ চা-চামচ
৯. কাঁচা লঙ্কা ৩-৪টি
১০. তেল প্রয়োজনমতো
১১. লবণ স্বাদমতো
১২. জল ১ কাপ।

প্রণালী :  প্রতিটি ডিম ফ্রাইং প্যানে তেল দিয়ে পোচ করে ভেজে তুলে রাখুন। ফ্রাইং প্যানে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ, আদাবাটা, রসুন বাটা, দারচিনি, এলাচ, হলুদ-লঙ্কার গুড়ো , লবণ ও সামান্য জল দিয়ে কষিয়ে নিন। মসলা কষা হলে এক কাপ জল দিন। জল ফুটে উঠলে তাতে একে একে পোচ করা ডিমগুলো দিন। ঝোল ঘন হয়ে এলে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে নামিয়ে নিন।

চিনাবাদাম ভর্তা
















চিনাবাদাম ভর্তা


উপকরণ:
১. চীনাবাদাম ভাজা (খোসা ছাড়া) ১ কাপ
২. পেঁয়াজ কুচি আধ কাপ
৩. কাঁচা লঙ্কা ৪-৫টি
৪. ধনেপাতা কুচি ১ আঁটি
৫. সর্ষের তেল ১ টেবিল-চামচ
৬. লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালী : কাঁচা লঙ্কা কাঠখোলায় টেলে নিতে হবে। বাদামের লাল খোসা ঘষে তুলে ফেলে, পাটায় বেটে নিতে হবে। কাঁচা লঙ্কা বেটে নিতে হবে। এবার তেলের সঙ্গে পেঁয়াজ, লবণ, ধনেপাতা কুচি চটকে বাদাম ও কাঁচা লঙ্কা বাটা দিয়ে মাখাতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

Friday, 30 March 2012

মালাই মটরশুঁটির শিক কাবাব

মালাই মটরশুঁটির শিক কাবাব

উপকরণঃ
১. মটরশুঁটি ১ কাপ
২. আদা বাটা আধ চা চামচ
৩. রসুন বাটা আধ চা চামচ
৪. বেসন ২ কাপ
৫. কাবাব মসলা গুড়ো ১ চা চামচ
৬. লবণ ১ চা চামচ
৭. স্বাদ লবণ ১ চা চামচ
৮. কাঁচা লঙ্কা বাটা ১ চা চামচ
৯. জিরে বাটা ১ চা চামচ
১০. দুধের সর বা গুঁড়ো দুধের ক্রিম ৪ টেবিল চামচ
১১. তরল বাটার ২ টেবিল চামচ
১২. ডিম ১টা

প্রণালীঃ   আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে মটরশুঁটি সেদ্ধ করে নিতে হবে। ওই মটরশুঁটির সঙ্গে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে কয়েক ভাগ করে প্রতিটি অংশকে শিকে গেঁথে আগুনে ঝলসাতে হবে। ওভেনে গ্রিল করা যায়। সে জন্য সাশলিকের কাঠিতে গেঁথে নিতে হবে।

বাঁধাকপি পালং বেকড












বাঁধাকপি পালং বেকড


উপকরণঃ
১. বাঁধাকপি মিহি করে কুচোনো ২৫০ গ্রাম ২/৩ মিনিট ভাপানো
২. কুচোনো পালং ২০০ গ্রাম
৩. ছানা ২০০ গ্রাম
৪. পেঁয়াজ ১টি কুচোনো
৫. চিজ কোরানো ৪ বড় চামচ
৬. নুন, গোলমরিচ স্বাদ মতো
৭. লাল লঙ্কার গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ
৮. দুধ ১ কাপ
৯. কর্নফ্লাওয়ার দেড় টেবিল চামচ
১০. মাখন অথবা সাদা তেল ৩/৪ টেবিল চামচ

প্রণালীঃ  তেল অথবা মাখন গরম হলে পেঁয়াজ সামান্য সাঁতলে বাঁধাকপি দিন। ৩/৪ মিনিট রান্না করুন। বাঁধাকপি থেকে জল বেরোবে, সেটা শুকোতে দিন।এবারে ছানা ছোটো ছোটো টুকরো করে দিন। নুন, গোলমরিচ, লাল লঙ্কার গুঁড়ো দিন।ভাল করে মেশান। ঠান্ডা জলে কর্ণফ্লাওয়ার গুলে নিয়ে সবজিতে দিন। সমস্তটা ভাল করে মিশে ঘন হয়ে গেলে একটি পাত্রে ঢেলে ওপরে চিজ কোরানো দিয়ে ৩/৪ মিনিট বেক করুন। চিজ গলে গিয়ে একটু রঙ ধরলে নামিয়ে নিন।

পাউরুটিতে মটরশুঁটি















পাউরুটিতে মটরশুঁটি


উপকরণঃ
১. মটরশুঁটি সেদ্ধ ১ কাপ
২. চিজ ঝুরি (গ্রেট করা) আধ কাপ
৩. টম্যাটো টুকরো বিচি ছাড়া আধ কাপ
৪. লবণ ১ চা চামচ
৫. চিনি আধ চা চামচ
৬. কাঁচা লঙ্কা কুচি ১ টেবিল চামচ
৭. স্বাদ লবণ ১ চা চামচ
৮. পাউরুটি পরিমাণমতো
৯. ডিম ফেটানো ১টা।

উপকরণঃ   মটরশুটি সামান্য লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার চিজ ফেটিয়ে সঙ্গে মটরশুঁটি এবং বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে দিতে হবে। এবার পাউরুটি ওভেনে টোস্ট করে নিতে হবে ১০ মিনিট। তৈরি করা পেস্ট পাউরুটির ওপরে দিয়ে আরও ১০ মিনিট ওভেনে টোস্ট করতে হবে ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়। গরম গরম পরিবেশন করলে খেতে মজা লাগবে।

পাতায় মোড়ানো ভাপে ঢেঁড়স





















পাতায় মোড়ানো ভাপে ঢেঁড়স



উপকরণঃ
১. কচি ঢেঁড়স ২৫০ গ্রাম
২. লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
৩. তেল ১ টেবিলচামচ
৪. কাঁচা লঙ্কা বাটা আধ চা চামচ
৫. লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালীঃ   ঢেঁড়স টুকরো করে নিতে হবে। তেল, লেবুর রস, লঙ্কা বাটা, লবণ একসঙ্গে মিলিয়ে ঢেঁড়স দিয়ে আলতো হাতে মাখিয়ে কলাপাতায় মুড়িয়ে ভাপের (স্টিম) ওপর কলাপাতা রেখে ১০-১২ মিনিট সেদ্ধ করতে হবে। গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

তরমুজের ঠান্ডা



















তরমুজের ঠান্ডা


উপকরণ:
১. তরমুজ কুচি ৪ কাপ
২. বরফ কুচি আধা কাপ
৩. চিনি আধা কাপ।


প্রণালীঃ   তরমুজ কুচি ও চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে ২ ঘণ্টা রেফ্রিজারেটরে রেখে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে। ইচ্ছা করলে জাফরান ও গোলাপজল মেশানো যায়।

জাফরানি পায়েস















জাফরানি পায়েস


উপকরণ:
১. মাঝারি সাইজের গাজর ২টি
২. পোলাউয়ের চাল আধ কেজি
৩. দুধ ২ লিটার
৪. কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন
৫. দারচিনি ৬ টুকরো
৬. এলাচ ৪টি
৭. গোলাপ জল ১ টেবিল চামচ
৮. জাফরান আধ চা চামচ
৯. কিশমিশ ২ টেবিল চামচ
১০. পেস্তাবাদাম কুচি ৪ টেবিল চামচ
১১. মাওয়া গুড়ো ২ টেবিল চামচ।

প্রণালী : গাজর সবজি করুনিতে ঝুরি করে নিতে হবে। জাফরান গোলাপ জলেতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পোলাউয়ের চাল ধুয়ে জলেতে ভিজিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর জল ঝরিয়ে কচলে চাল আধ ভাঙা করতে হবে। দুধ ও চাল একসঙ্গে গ্যাসে দিতে হবে। ফুটে উঠলে গাজর দিতে হবে। এলাচ, দারচিনি দিতে হবে। চাল ও গাজর সেদ্ধ হয়ে পায়েস ঘন হয়ে এলে কনডেন্সড মিল্ক দিতে হবে। গোলাপ জলেতে ভেজানো জাফরান দিতে হবে। কিশমিশ ও কিছু পেস্তাবাদাম কুচি দিয়ে নামাতে হবে। পরিবেশন পাত্রে গাজরের পায়েস ঢেলে পেস্তাবাদাম কুচি, মাওয়া গুঁড়া ছিটিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখতে হবে।

কলাপাতায় মুরগি












কলাপাতায় মুরগি


উপকরণ:
১. মুরগি ৫০০ গ্রাম
২. আদা বাটা ১ চা চামচ
৩. রসুন বাটা ১ চা চামচ
৪. পেঁয়াজ কাটা ২ চা চামচ
৫. কাঁচা লঙ্কা বাটা ৪-৫টি
৬. লাল লঙ্কা গুড়ো ১ টেবিল চামচ
৭. এলাচ বাটা ২টি
৮. দারুচিনি ২ টুকরো
৯. সর্ষের তেল আধ কাপ
১০. হলুদ গুড়ো ১ চা চামচ
১১. জিরে বাটা ১ চা চামচ
১২. লবণ স্বাদমতো
১৩. কলাপাতা বড় ১টি
১৪. সুতো ১ রিল।

প্রণালী:  মুরগি ছোট করে টুকরো করে নিতে হবে। এবার ধুয়ে জল ঝরিয়ে সব মসলা দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। কলাপাতার মাঝের শক্ত আংশ কেটে ফেলতে হবে। এবার কলাপাতা দুই পাতা করে তার মধ্যে মাখানো মাংস দিয়ে পাতা মুড়ে ভালো করে সুতো দিয়ে বাঁধতে হবে। কয়লায় অথবা গ্যাসের চাটুতে  আস্তে আস্তে পোড়াতে হবে। পোড়ানো হয়ে গেলে সুতো খুলে গরম গরম পরিবেশন।

কাটা মাসালা মুরগি















কাটা মাসালা মুরগি


উপকরণ :
১. মুরগি ১টা (ছোট টুকরো করা)
২. তেল হাফ কাপ
৩. টক দই হাফ কাপ
৪. আস্ত জিরে ১ চা চামচ
৫. পেঁয়াজ (কিউব করে কাটা) ১ কাপ
৬. রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ
৭. আদা কুচি ১ টেবিল চামচ
৮. আদা কুচি ১ টেবিল চামচ
৯. পুদিনা পাতা বাটা ১ টেবিল চামচ
১০. ধনে পাতা বাটা ১ টেবিল চামচ
১১. গরম মসলা গুঁড়ো ১ চা চামচ (এলাচ, গোল মরিচ, কাবাব, চিনি, জয়ত্রী জয়ফল, শাহী জিরে শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো করে নিতে হবে)
১২. তেজপাতা ১টা
১৩. গোল মরিচ গুঁড়ো হাফ চা চামচ
১৪. জল ১ কাপ।

প্রণালী  : তেল, জিরে , তেজপাতা পেঁয়াজ ছাড়া সব উপকরণ দিয়ে মুরগী ১ ঘন্টা মেখে রাখতে হবে হাড়িতে তেল গরম করে জিরে তেজপাতা ও পেয়াজ দিয়ে ভুনা করতে হবে। পেয়াজ বাদামী রঙ হলে মাখানো মুরগি দিয়ে মাঝারি আঁচে তুলতে হবে। কিছুক্ষণ পর আগুন বাড়িয়ে দিয়ে ভালভাবে ভুনতে হবে, জল দিয়ে মুরগি সেদ্ধ হতে দিতে হবে। জল  শুকিয়ে তেল উপরে উঠে আসলে গ্যাস থেকে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

পাঁচমেশালি করলা
















পাঁচমেশালি করলা


উপকরণ:
১. মুরগির চামড়া ১০০ গ্রাম
২. করলা (ছোট করে কাটা) ৫০ গ্রাম
৩. মুরগির কলজে গিলা ৫-৬টি
৪. পেঁয়াজ কুচি ১০০ গ্রাম
৫. আদা বাটা ১ চা চামচ
৬. রসুন বাটা ১ চা চামচ
৭. লঙ্কা বাটা দেড় চা চামচ
৮. হলুদ গুড়ো সামান্য
৯. তেল ৩ টেবিল চামচ
১০. লবণ স্বাদমতো
১১. এলাচ ২টি
১২. দারচিনি ২ টুকরো
১৩. তেজপাতা ১টি।

প্রণালী : পাত্রে তেল দিয়ে গরম হলে পেঁয়াজ লাল করে সব মসলা দিয়ে কষাতে হবে।এবার চামড়া, গিলা, কলজে দিয়ে খুব ভালো করে কষাতে হবে। সেদ্ধ হলে করলা দিয়ে অল্প আঁচে ১০ মিনিট রেখে ওপরে তেল এলে নামিয়ে নিতে হবে। গরম গরম পরিবেশন।

ক্যাপসিকাম চিকেন












ক্যাপসিকাম চিকেন


উপকরণঃ
১. মুরগি সিনার মাংস ৫০০ গ্রামণ্ড লম্বা লম্বা করে কেটে নিতে হবে
২. পেঁয়াজ মিহি করে কাটা আধ কাপ
৩. আদা, রসুন ও পুদিনা বাটা ১ টেবিল চামচ
৪. ক্যাপসিকাম
৫. টম্যাটো ১টি
৬. গোলমরিচের গুঁড়ো ২ চা চামচ
৭. লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
৮. সয়াবিন তেল পরিমাণমতো
৯. লবণ স্বাদ অনুযায়ী
১০. মাখন অল্প

প্রণালিঃ  মুরগির সিনার মাংস লম্বা লম্বা করে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে তাতে একে একে আদা, রসুন ও পুদিনা বাটা, লবণ, গোল মরিচের গুঁড়োঁ এবং লেবুর রস দিয়ে মুরগি ভালোভাবে মাখিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। এখন একটি ফ্রাইংপ্যানে অল্প মাখন ও পরিমাণমতো তেল দিয়ে তাতে মিহি করা পেঁয়াজ দিয়ে ভাজা ভাজা করে তাতে আগে থেকে মাখানো মুরগি দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। মুরগি কষানো হয়ে গেলে তাতে বেল পেপার, টম্যাটো (বিচি ফেলে দিয়ে লম্বা লম্বা করে কেটে নিতে হবে)। ক্যাপসিকামেরও বিচি ফেলে দিয়ে লম্বা লম্বা করে কেটে নিতে হবে। তারপর এগুলো দিতে হবে। গোল মরিচের গুঁড়ো এবং কাঁচা লঙ্কাও তাতে দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে প্রয়োজন হলে অল্প জল দিয়ে কিছুক্ষণ গ্যাসে রেখে তা নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ঝলসানো মুরগি














ঝলসানো মুরগি

উপকরণ:
১. মুরগির মাংসের টুকরো ৫০০ গ্রাম
২. টক দই ২ টেবিল-চামচ
৩. সিরকা ১ টেবিল-চামচ
৪. লবণ স্বাদমতো
৫. লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা-চামচ
৬. ঘি বা তেল ৩ টেবিল-চামচ
৭. পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল-চামচ
৮. ধনে গুঁড়ো সিকি চা-চামচ
৯. জিরে গুঁড়ো সিকি চা-চামচ
১০. গরম মসলা আধ চা-চামচ
১১. আদা বাটা ১ চা-চামচ
১২. রসুন বাটা ১ চা-চামচ।

প্রণালী : সব মসলা মুরগির সঙ্গে মেখে ফ্রিজে ৪ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। এবার ওভেনের ট্রেতে তেল বা ঘি ব্রাশ করে মুরগির মাংস দিয়ে বেক করতে হবে। রাইতা দিয়ে পরিবেশন।


সবজি ও কিমার দম


সবজি ও কিমার দম


উপকরণ:
১. ব্রকলি ১ কাপ
২. ফুলকপি ১ কাপ
৩. বাঁধাকপি ১ কাপ
৪. পেঁপে ১ কাপ
৫. গাজর আধ কাপ
৬. বরবটি আধ কাপ
৭. মটরশুঁটি আধ কাপ
৮. সয়াবিন আধ কাপ
৯. পেঁয়াজ ১ কাপ (ভাঁজ খোলা)
১০. কাঁচা লঙ্কা (বিচি ছাড়া) ৬-৭টি
১১. মুরগির মাংসের কিমা ১ কাপ
১২. চিংড়ি মাছের কিমা আধ কাপ
১৩. টক দই ২ টেবিল-চামচ
১৪. রসুন কুচি ২ কোয়া
১৫. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ
১৬. মাখন ২ টেবিল-চামচ
১৭. তেল ২ টেবিল-চামচ
১৮. লবণ স্বাদমতো।

প্রণালী :  মুরগির কিমা ও চিংড়ির কিমায় টক দই মেখে রাখতে হবে। সব সবজি ধুয়ে পাতলা পাতলা করে কেটে নিতে হবে। ফ্রাইং প্যানে মাখন ও তেল দিয়ে তাতে রসুন কুচি দিতে হবে। এবার কিমা দিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে। পেঁয়াজ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাজতে হবে। এরপর তাতে সবজি ও লবণ দিতে হবে। সবজি সেদ্ধ হয়ে এলে কাঁচা লঙ্কা , কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি দিয়ে দুই-তিন মিনিট দমে রাখতে হবে।

সবজি মাংসের ঘুগনি


















সবজি মাংসের ঘুগনি


উপকরণ:
১. সেদ্ধ আলু (আস্ত)
২. সেদ্ধ গাজর ৫০ গ্রাম
৩. মাশরুম ৫০গ্রাম
৪. পেঁয়াজ ৫০গ্রাম
৫. মটরশুঁটি ৫০ গ্রাম
৬. ব্রকলি ৫০গ্রাম
৭. ফুলকপি ৫০ গ্রাম ও গোল করে কাটা
৮. মুরগির মাংস ১ কেজি (ছোট করে কাটা)
৯. সেদ্ধ ছোলা বা মটর ডাল আধ কাপ
১০. কাঁচা লঙ্কা ৪-৫টি
১১. টম্যাটো ১টি
১২. ক্যাপসিকাম ১টি
১৩. সর্ষে বাটা ১ চা-চামচ
১৪. আদাবাটা ১ চা-চামচ
১৫. রসুনবাটা ১ চা-চামচ
১৬. টম্যাটো সস ১ টেবিল-চামচ
১৭. ময়দা ১ টেবিল-চামচ
১৮. মুরগির স্টক ১ কাপ
১৯. গোল মরিচ গুড়ো ১ চা-চামচ
২০. লবণ স্বাদমতো
২১. মাখন ও তেল প্রয়োজনমতো।

প্রণালী :  ময়দা ও মুরগির স্টক ছাড়া সব উপকরণ দিয়ে মুরগির মাংস ৩০ মিনিট মাখিয়ে রাখতে হবে। একটি কড়াইয়ে মাখন দিয়ে মুরগির মাংস মৃদু আঁচে ঢেকে রান্না করতে হবে। সব সবজি ও ডাল লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে মাখিয়ে ১ চা-চামচ মাখন দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে। মুরগির মাংস সেদ্ধ হলে বাটিতে তুলে রাখতে হবে। বাকি ঝোলের মধ্যে ১ টেবিল চামচ ময়দা ও মুরগির স্টক দিয়ে একটি ব্রাউন সস তৈরি করে সারভিং ডিশে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ওপরে ঢেলে দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করা যায়।

চকলেট হালুয়া











চকলেট হালুয়া


উপকরণ :
১. সুজি আধ কাপ
২. বেসন আধ কাপ
৩. চিনি এক কাপ
৪. ঘি আধ কাপ
৫. কোকো পাউডার ২ টেবিল চামচ
৬. চকলেট সিরাপ ১ টেবিল চামচ
৭. জয়ফল
৮. দারচিনি গুঁড়ো সামান্য
৯. ডিম ৩টা
১০. জল ২ কাপ।

প্রণালী : ডিম, কোকো পাউডার, চকলেট সিরাপ, চিনি ও জল এক সঙ্গে ব্লেন্ড করুন। কড়াইয়ে ঘি ঢেলে গরম করে সুজি, ঢালুন। সুজি ভাজা হয়ে গেলে বেসন দিয়ে নাড়তে থাকুন। এরপর ব্লেন্ড করা মিশ্রণ ঢেলে দিন। জল শুকিয়ে তেল ওপরে ভেসে উঠলে জয়ফল-দারুচিনি গুড়া মিশিয়ে গ্যাস থেকে নামান। ঠান্ডা হলে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ছোলার ডালের হালুয়া













ছোলার ডালের হালুয়া


উপকরণ :
১. ছোলার ডাল হাফ কেজি
২. দুধ ১ লিটার
৩. চিনি ১ কেজি
৪. ঘি চারভাগের এক কাপ
৫. এলাচ গুঁড়ো হাফ কাপ
৬. দারচিনি গুঁড়ো সোয়া কাপ
৭. গোলাপ জল ১ টেবিল চামচ
৮. কিসমিস ৫ টেবিল চামচ
৯. পেস্তা বাদাম কুচি ৩ টেবিল চামচ।

প্রণালী :  ছোলার ডাল, কোড়ানো নারকেলে, দুধ দিয়ে সেদ্ধ করে শুকিয়ে গেলে গরম অবস্থায় কেটে নিতে হবে। কড়াইতে ঘি দিয়ে ডাল বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চিনি দিয়ে আরো নাড়তে হবে। এলাচ, দারচিনি গুঁড়ো দিতে হবে। হালুয়া তাল বেঁধে উঠলে কিসমিস, গোলাপ জল দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে-চেড়ে গ্যাস থেকে নামিয়ে বরফি করতে চাইলে বড় খাঞ্জায়মি লাগিয়ে পেস্তা বাদাম কুচি ছিটিয়ে গরম হালুয়া ঢেলে সমান করতে হবে। ঠান্ডা হলে ছাঁচে বসিয়ে বিভিন্ন নকশা করে পরিবেশন করুন।

গড়পঞ্চকোট (পুরুলিয়া)

গড়পঞ্চকোট (পুরুলিয়া)


বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তে পাঞ্চেৎ জলাধার লাগোয়া গড়পঞ্চকোট পাহাড়। পাহাড়ের কোলে গড়পঞ্চকোট প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্র। সবুজের সমারোহ ও জলাধারের সৌন্দর্য অন্য মাত্রা এনেছে। বিগত ৭ বছর ধরে এই এলাকা প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে অন্যতম গন্তব্য স্থান। সবুজে ঘেরা পাহাড়ের কোলে এই পর্যটন কেন্দ্রে বন উন্নয়ন নিগম গড়েছে সমস্ত সুবিধাযুক্ত পর্যটন কেন্দ্র।
১.











২-৩ দিনের জন্য শাল পিয়ালের মধ্যে নিভৃত অবকাশ, পাহাড়ের পথ বেয়ে ঘন জঙ্গলের মধ্যে পাখির কাকলির মধ্যে দৈনিন্দন কাজের ব্যস্ততাকে ভুলে যাওয়া।

পাহাড়ের অপর অংশেই রয়েছে মন্দির ক্ষেত্র, পঞ্চকোট রাজবংশের অতীত ইতিহাসের সাক্ষ্য নিয়ে। পঞ্চকোট রাজবংশের রাজধানী ছিল এই মন্দির ক্ষেত্র।

যাতায়াত

কলকাতা থেকে ট্রেনে আসানসোল- সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে কুলটি, ডিসেরগড় ঘাট হয়ে নিতুড়িয়া।
আসানসোল থেকে সড়ক পথে দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার।
এ ছাড়া ট্রেনে করে আদ্রা স্টেশন- গাড়ি ভাড়া করে নিতুড়িয়া সড়ক পথে দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার।
এ ছাড়া ট্রেনে করে বরাকর স্টেশন- গাড়ি ভাড়া করে নিতুড়িয়া সড়ক পথে দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার।

২. 





যোগাযোগ নম্বর: কলকাতা- ০৩৩ ২২৩৭০০৬০, ০৩৩ ২২৩৯০০৬১।
দূর্গাপুর- ০৩৮৩ ২৫৩৩৩৫৪১।
পুরুলিয়া- ০৩২৫২ ২২৬৭২১।
মেদিনীপুর- ০৩২২২ ২৭৫৮৫৭।
খরচ- শীতাতপ নিয়িন্ত্রত ঘরের সর্বনিম্ন: ৭১৫ (দুই শয্যা) সর্বোচ্চ: ১৪৩০ (চার শয্যা) দৈনিক।
কটেজের কিচেন থেকেই ব্রেকফাস্ট, আমিষ ও নিরামিষ মিল দেওয়া হয়।

৩. 










আশেপাশে

গড়পঞ্চকোট গ্রামের মধ্যে দিয়ে পিচ ঢালা রাস্তা দিয়ে পৌছনো যাবে এই মন্দির ক্ষেত্রে। টেরাকোটার শিল্প বৈশিষ্ট্য কয়েকটি মিন্দের আজও বর্তমান। খুজে পাওয়া যায় অতীতের নিদর্শন।
প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্র থেকে ৪-৫ কিলোমিটারের মধ্যে পাঞ্চেৎ জলাধার। পড়ন্ত বিকেলের সূর্যের আভা বিস্তৃত জলরাশির ওপর পড়ে তৈরি করে অতুলনীয় সৌন্দর্য।

মাইথন

মাইথন 

অফিসে কাজের চাপ অথবা ব্যস্ত-সমস্ত শহরের দূষণ কোলাহল থেকে রেহাই পেতে কয়েকটা দিন মাইথনে সময় কাটানোর মজাই আলাদা। এখানে বেড়াতে আসার সময় শুরু হয় সেপ্টেম্বর থেকে। চলে মার্চ মাস পর্যন্ত। তবে বর্ষাকালেও মাইথনের আলাদা রূপ খুলে যায়। সবুজ বনানীতে ঝমঝম বৃষ্টির ধারাপাত এক অন্য অভিজ্ঞতা এনে দেয়। বর্ষার কালো মেঘ ঢেকে দেয় পাহাড়ের চূড়া। স্ফীত হয় নদীর বুক। এই বর্ষাতেই জলাধারের জল ছাড়া হয়। জল ছাড়া দেখার জন্য প্রতিদিন এখানে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেন। মনোরঞ্জনের তিনটি উপাদানই এখানে মজুত রয়েছে। পাহাড়ের উচ্চ শিখরে যারা সময় কাটাতে পছন্দ করেন তাদের জন্য উচু পাহাড়ের মাথায় বনবাংলো আছে। যারা দিনের আলোতেও গাছগাছালির থকথকে অন্ধকার ভালবাসেন অথবা আধার রাতে জোনাক আলোয় ঝিঝি পোকার ডাক শুনে রোমাঞ্চিত হতে চান তাদের জন্য গহন অরণ্যে বনবাংলোর ব্যবস্থা আছে। আবার তিরতিরে হাওয়ার দোলায় যারা বহতা নদীর পাড়ে একাকী সঙ্গোপনে মনের কথা বলতে চান, তাদের জন্য বাথানবাড়ির কুল হারানো নদীর পাড়ও আছে। 










মাইথন বাথান বাড়ি








২. 









মাইথন নদী


৩. 











মাইথন জলাধার

৪. 












মাইথন জলাধার দৃশ্য

৫. 













মাইথন 


মাইথন জলাধারটিও দেখার মতো। এর দৈর্ঘ্য সাড়ে পাচ কিলোমিটার। জলাধারের পরিধি ১৬০ বর্গমিটার। নদীর তলদেশ থেকে জলাধারের উচ্চতা ৫০০ ফুট। প্রায় ৮০০ মিটার এলাকার ওপর নির্মিত হয়েছে কংক্রিটের বাধ। ১১ টি লক গেট আছে। জল যখন নদীর বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন এই লকগেট খুলে বাধের জল ছাড়া হয়। এই বাধের পাশে বিশাল উচু এক পাহাড়ের কোলে বানানো হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। জলাধারের ঠিক পাশেই রয়েছে হরিণ বন। ডি ভি সি কর্তৃপক্ষ এখানে হরিণ প্রজনন কেন্দ্র বানিয়েছেন। মুক্ত পরিবেশে হরিণ চরে বেড়াতে দেখা যায়। এখানে নদীগর্ভে একাধিক দ্বীপ আছে। পর্যটকদের এই দ্বীপগুলিতে বেড়ানোর সুযোগও আছে। নৌকো বা স্পিড বোটে চেপে এই সব দ্বীপে যাওয়া যায়। সারা দিন থেকে রান্না-খাওয়া করে পিকনিকের মেজাজে কাটানো যায়। মাইথনকে কেন্দ্র করে পাশের দুটি অঞ্চল সীদাবাড়ি ও বাথানবাড়িতে মানুষজন বেড়াতে যান। সীদাবাড়ি এলাকায় রয়েছে জঙ্গল এবং পর্বতমালা। ফিসফাস আওয়াজও এখানে পাহাড়ের গায়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসে। এই জায়গা আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে মনোরম একটি পার্ক বানিয়েছেন ডি ভি সি কর্তৃপক্ষ। গোটা একটা দিন কাটানোর জন্য সীদাবাড়ি দারুণ। পর্যটকরা কেউ খাবার নিয়ে আসেন, কেউ আবার রান্না করেও খান। রান্নার সামগ্রী জোগাড় করে দেন পাশ্বর্বর্তী আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা।

সীদাবাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার পশ্চিমে এগিয়ে গেলে দেখা পাওয়া যায় বাথানবাড়ির। এখানে পাহাড়ের ছিটেফোটা মেলে না। কয়েকটা উচু টিলা এবং বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে থাকা শাল-সেগুন-পলাশের বন। মন ভরিয়ে দেবে কূল হারানো নদী। ঠিক যেন সমুদ্র। চার দিকে চিকচিকে নুড়ি বিছানো মাটিতে ঝিলিক দেয় প্রকৃতির আলো। তিরতির করে বয়ে যাওয়া হাওয়ায় নদীর ঢেউ ওঠে তিন থেকে চার ফুট। মন চাইলে নদীতে স্নানও করা যায়। মাইথনের অসম্ভব সুন্দর দৃশ্যাবলির মাঝে নৌকো-বিহারের আনন্দই আলাদা! সুসজ্জিত নৌকো বানিয়ে অথবা স্পিড-বোট চালিয়ে এই পেশায় যুক্ত হয়েছেন প্রচুর মানুষ। সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক শোভায় সুসজ্জিত মাইথন নিরিবিলিতে সময় কাটানোর এক আদর্শ স্থান।

যাতায়াত

কলকাতা থেকে ট্রেনে এলে আসানসোল অথবা বরাকর স্টেশনে নামতে হবে।আসানসোলে নামলে, ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ভাড়া গাড়িতে মাইথন আসতে ৫০০ টাকা লাগবে। বরাকর স্টেশনে নামলে খরচ হবে ৩০০ টাকা।
কলকাতা থেকে বাসে এলে আসানসোল নেমে ভাড়া-গাড়ি ধরে আসতে হবে। রুটের বাস আছে তবে পর্যাপ্তর তুলনায় অনেক কম। সব সময় মেলে না।
কলকাতা থেকে সরাসরি গাড়িতে এলে দুর্গাপুর এক্সেপ্রসওয়ে ধরে ধানবাদের দিকে আসতে হবে। এই রাস্তার নাম ২ নম্বর জাতীয় সড়ক। সোজা চলে আসতে হবে ডুবুরডিহি চেকপোস্ট। এখানে এসে ডান দিকের রাস্তা ধরে মাইথন। ডুবুরডিহি চেকপোস্ট থেকে মাইথন মাত্র সাত কিলোমিটার।

থাকবার জায়গা 

মাইথনে একাধিক হোটেল এবং রিসর্ট আছে।মজুমদার নিবাস (ডি ভি সি কর্তৃপক্ষ)
নন্‌ এসি ডবল বেডের ভাড়া ১৮০ টাকা। চারটি সুসজ্জিত স্যুইট আছে ভাড়া বিভিন্ন রকমের।
ফোনে বুক করা যায়- নম্বর ০৬৫৪০-২৫২৪৬৫।
শান্তি লজ (পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তত্ত্বাবধানে)
ভাড়া: নন্‌ এসি ডবল বেড ৪০০ টাকার মধ্যে। এসি ডবল বেড ৭০০ টাকার মধ্যে।
ফোন নম্বর- ০৩৪১-২৫২৩৭৩৫।
পাহাড়ের ওপর একটি বনবাংলো আছে
চারটি ডবল বেড ঘর আছে। ভাড়া ১২০০ টাকার মধ্যে প্রতিটি।
ফোন নম্বর- ০৩৪৩-২৫৩৭২২৯।
বেসরকারি হোটেলে এসে বুকিং করা যায়
ডবল বেড নন্‌ এসি ৪০০ টাকার মধ্যে। ডবল বেড এসি ৭০০ টাকার মধ্যে।

Thursday, 29 March 2012

রুই মাছের ঝোল



রুই মাছের ঝোল


উপকরণঃ
১. ১ কেজি রুই মাছ
২. বেরেস্তার জন্য ৩টি বড় পেঁয়াজ কুচি
৩. তেল
৪. ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা,
৫. ২ টেবিল চামচ আদা বাটা,
৬. ১ টেবিল চামচ লঙ্কা বাটা,
৭. ১ টেবিল চামচ ধনে বাটা,
৮. আধ চা চামচ হলুদ বাটা,
৯. ১ লেবেল টেবিল চামচ গরম মসলা বাটা
১০. ৪০ গ্রাম বাদাম কুচি করে কাটা এবং বাটা
১১. আধ লেবেল চামচ গোলমরিচ
১২. ২টি লেমন জুস
১৩. ৩০০ গ্রাম ইয়োগার্ট
১৪. জাফরান
১৫. লবণ পরিমাণমতো
১৬. জল
১৭. ঘি

ডেকোরেশনের জন্যঃ
১. ৬টি কাঁচা লঙ্কা
২. ২ টেবিল চামচ তাজা ধনে পাতা কুচি
৩. ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচির বেরেস্তা
৪. ২টি সিদ্ধ ডিম

প্রণালীঃ প্রথমেই হলুদ গুড়ো এবং লেমন জুস দিয়ে মাছ ভেজে নিতে হবে। এরপর হলুদ, ধনে পাতাকুচি, গরম মসলা, রসুন বাটা, আদা বাটা, লঙ্কা বাটা, ইয়োগার্ট আধ কাপ জলেতে ফুটিয়ে নিতে হবে ৫ থেকে ৮ মিনিট। এরপর মাছ এর মধ্যে ছেড়ে নিয়ে মৃদু আঁচে রাখতে হবে। ১০ থেকে ১২ মিনিট। এর সাথে জাফরান মেশাতে হবে।হয়ে গেলে প্লেটে সাজিয়ে এর উপর কাঁচা লঙ্কা, ধনেপাতা, পেঁয়াজ বেরেস্তা, ডিম সিদ্ধ কেটে সাজাতে হবে( যদি আপনার মন চায় )

দেশি মাছের দোপেয়াজা


















দেশি মাছের দোপেয়াজা


উপকরণঃ
১. ১ কেজি রুই মাছ
২. বেরেস্তার জন্য ৩টি বড় পেঁয়াজ কুচি
৩. ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা
৪. ২ টেবিল চামচ আদা বাটা
৫. ১ টেবিল চামচ লঙ্কা বাটা
৬. ১ টেবিল চামচ ধনে বাটা
৭. ১ লেবেল টেবিল চামচ গরম মসলা বাটা
৮. ৪০ গ্রাম বাদাম কুচি করে কাটা এবং বাটা
৯. আধ টেবিল চামচ গোলমরিচ
১০. ২টি লেমন জুস
১১. লবণ পরিমাণমতো
১২. জল পরিমান মতো
১৩. তেল পরিমান মতো
১৪. আধ চা চামচ হলুদ বাটা

প্রণালীঃ  প্রথমেই হলুদ গুড়ো এবং লেমন জুস দিয়ে মাছ ভেজে নিতে হবে।
এরপর হলুদ, ধনে পাতাকুচি, গরম মসলা, রসুন বাটা, আদা বাটা, লঙ্কা বাটা আধা কাপ জলেতে ফুটিয়ে নিতে হবে ৫ থেকে ৮ মিনিট।এরপর মাছের মধ্যে ছেড়ে নিয়ে মৃদু আঁচে রাখতে হবে। ১০ থেকে ১২ মিনিট । হয়ে গেলে প্লেটে সাজিয়ে এর উপর কাঁচা লঙ্কা, ধনেপাতা, পেঁয়াজ বেরেস্তা কেটে সাজাতে হবে।

কাঁচা আমড়ায় মুড়োঘণ্ট

কাঁচা আমড়ায় মুড়োঘণ্ট

উপকরণ:
১. মাছের মুড়ো (মাথা) একটি
২. মুগডাল ২৫০ গ্রাম
৩. আতপ চাল আধ কাপ (ভিজিয়ে রাখা)
৪. আলুর টুকরো এক কাপ
৫. পেঁয়াজ কুচি এক কাপ
৬. রসুন কুচি এক চা-চামচ
৭. আদা বাটা এক টেবিল চামচ
৮. জিরা বাটা এক চা-চামচ
৯. তেজপাতা দুই-তিনটি
১০. লঙ্কা গুঁড়ো এক চা-চামচ
১১. হলুদ গুঁড়ো এক চা-চামচ
১২. কাঁচা লঙ্কা সাত-আটটি
১৩. পেঁয়াজ বেরেস্তা এক টেবিল চামচ
১৪. ভাজা জিরের গুঁড়ো এক চা-চামচ
১৫. চিনি এক টেবিল চামচ
১৬. দারচিনি দুই-তিন টুকরো
১৭. আমড়া দুটি ডুমো করে কাটা
১৮. লবণ স্বাদমতো
১৯. তেল প্রয়োজনমতো

প্রণালী:  মাছের মুড়ো কেটে টুকরো করে পরিষ্কার করে নিন। লবণ, রসুন বাটা ও হলুদ গুঁড়ো মেখে ভেজে রাখুন। সসপ্যানে তেল দিন, একে একে সব মসলা দিয়ে লবণ ও সামান্য জল দিয়ে কষান, কষানো হলে মুগডাল, আলু ও আতপ চাল দিয়ে ভালো করে কষে নিন। পরিমাণমতো গরম জল দিন, নাড়তে থাকুন মাঝে মাঝে। ডাল সেদ্ধ হলে মাছের মুড়ো দিন। কাঁচা আমড়ার টুকরোগুলো দিন। চিনি ও কাঁচা মরিচ দিন। মুড়োঘণ্ট সেদ্ধ ও ঘন হয়ে এলে ভাজা জিরের গুঁড়ো ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে পরিবেশন করুন কাঁচা আমড়ার মুড়োঘণ্ট।

ফুলকপি ও রুই মাছের ঝোল













ফুলকপি ও রুই মাছের ঝোল


উপকরণ:
১. রুই মাছ ৮ টুকরো
২. ফুল কপির ফুল ৮-১০টি
৩. পেঁয়াজ বাটা দুই টেবিল চামচ
৪. রসুন বাটা এক চা চামচ
৫. হলুদ ও ধনে গুড়ো আধ চা চামচ করে
৬. লঙ্কার গুড়ো ঝাল অনুযায়ী
৭. টম্যাটো কুচি একটি
৮. তেল এক কাপ
৯. জল প্রয়োজনমতো
১০. জিরে গুড়ো এক চা চামচ
১১. কাঁচা লঙ্কা চারটি
১২. ধনেপাতা সামান্য।

প্রণালী:  মাছ ধুয়ে অল্প হলুদ ও লবণ দিয়ে ভাজতে হবে। এবার ওই তেলে ফুলকপি অল্প আঁচে ভেজে বাকি তেলে রসুন ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে টম্যাটো ও অন্য সব মসলা দিয়ে রান্না করতে হবে। এবার প্রথমে ফুলকপি দিয়ে তিন মিনিট রান্না করে মাছ ভাজা দিয়ে আরও তিন মিনিট রান্না করে ঝোল দিতে হবে। হয়ে এলে ওপরে কাঁচা লঙ্কা , ধনেপাতা ও জিরের গুড়ো ছিটিয়ে অল্প আঁচে আরও দুই-তিন মিনিট রেখে নামাতে হবে।

আমের ভর্তা



আমের ভর্তা


উপকরণ:
১. আম কুচি ১ কাপ
২. কাসুন্দি ১ টেবিল চামচ
৩. শুকনো লঙ্কা ২টি
৪. লেবুর রস ১ চা চামচ
৫. লবণ স্বাদমতো
৬. চিনি স্বাদমতো।

প্রণালী :  আম কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। লবণ দিয়ে মাখিয়ে, চিপে জল ফেলে নিতে হবে। এবার আমের সঙ্গে সব মাখিয়ে ভর্তা তৈরি করতে হবে।

আম-ডাল












আম-ডাল


উপকরণ:
১. মসুরির ডাল ১ কাপ
২. কাঁচা আম ১টি (টুকরো করে কাটা)
৩. পেঁয়াজ ১টি
৪. রসুন কুচি ২ কোয়া
৫. কাঁচা লঙ্কা ২টি (ফালি করা)
৬. লবণ স্বাদমতো
৭. সর্ষের তেল ২ টেবিল চামচ
৮. হলুদ ১ চা চামচ
৯. শুকনো লঙ্কা ১টি।

প্রণালী : ডালের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা, লবণ, হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে আম দিতে হবে। আম সেদ্ধ হলে নামিয়ে তেল, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে রসুন কুচি দিতে হবে। একটু লাল হয়ে এলে ডালে আম দিয়ে ফোড়ন দিতে হবে।

চিংড়ি-কচু



চিংড়ি-কচু


উপকরণ:
১. কচু ৩ কাপ
২. চিংড়ি মাছ ১ কাপ
৩. রসুনবাটা ১ চা-চামচ
৪. লবণ পরিমাণমতো
৫. কাঁচা লঙ্কা ৩-৪টি
৬. পেঁয়াজ (মোটা কাটা) ২ কাপ
৭. আদা বাটা আধ চা-চামচ
৮. লঙ্কার গুড়ো আধ চা-চামচ
৯. তেল সিকি কাপ।

প্রণালী : কচু লম্বা ফালি করে কাটুন। গরম জলেতে ভাপ দিয়ে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। পেঁয়াজ মোটা গোল গোল করে কাটতে হবে। পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ, চিংড়ি, লবণ ও সব মসলা দিয়ে কষাতে হবে। যখন কাঁচা গন্ধ চলে যাবে তখন ভাপ দেওয়া কচু দিয়ে নেড়ে হাতছিটা জল ও ঢাকনা দিয়ে দমে রান্না করতে হবে।

কাজু ফুলকপি














কাজু ফুলকপি


উপকরণঃ
১. ফুলকপি ১টি
২. পেঁয়াজ কুচোনো দুটি
৩. আদা পরিমাণ বাটা
৪. রসুন ৫ কোয়া বাটা
৫. হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
৬. জিরে, ধনে গুঁড়ো- প্রতিটি ১ চা চামচ
৭. লঙ্কা গুঁড়ো স্বাদ অনুযায়ী
৮. লেবুর রস ২ চা চামচ
৯. কাজুবাদাম ১৫টা বাটা
১০. বেসন ২ চা চামচ
১১. টক দই ৫০ গ্রাম
১২. জাফরান ৩/৪ পাতি
১৩. দুধ ১ চা চামচ
১৪. ধনেপাতা ইচ্ছে হলে
১৫. সাদা তেল যেমন লাগবে
১৬. নুন, মিষ্টি- স্বাদমতো

প্রণালীঃ কপির ফুলগুলো বার করে নিন । এতে সামান্য হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন, লেবুর রস, বেসন মাখিয়ে ডুবো তেলে ভেজে তুলুন। পেঁয়াজ কুচি দিন। রং বদলাতে শুরু করলে আদা রসুন বাটা দিন। কষা হলে লঙ্কা, হলুদ, জিরে গুঁড়ো দিন। ভাজা কপি, টক দই ফেটিয়ে দিন, বাদাম বাটা দিন, নুন, মিষ্টি দিয়ে সামান্য জলে দিয়ে নাড়াচাড়া করে ঢিমে আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। কপি সিদ্ধ হয়ে আসবার আগে দুধে ভেজানো জাফরান দিয়ে নামিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন।

পাঁচ তরকারি

পাঁচ তরকারি

উপকরণঃ
১. সিমলা লঙ্কা ১ টা
২. আলু ২টো
৩. ছোটো ফুলকপি ১ টা
৪. গাজর ২ টো
৫. সর্ষের তেল ২ টেবিল চামচ
৬. হিং ১ চিমটে
৭. আদা কুচি ২ চা চামচ
৮. লঙ্কা ও হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
৯. ধনে গুঁড়ো ৪ চা চামচ
১০. গরম মশলা ১/২ চা চামচ
১১. আস্ত মৌরি ১ চা চামচ
১২. নুন স্বাদ মতো
১৩. দই ২ টেবিল চামচ
১৪. চিনি স্বাদমতো
১৫. জিরে সামান্য (ফোড়নের জন্য)

প্রণালীঃ  তেলে জিরে , হিং ফোড়ন দিন। আদা কুচি ও সবজি দিন। এরমধ্যে হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো ও গরমমশলা দিন। আস্ত মৌরি দিন। ২/৩ মিনিট নাড়াচাড়া করে কম আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দেবেন। সমস্ত সবজি সুসিদ্ধ হলে দইতে নুন, মিষ্টি স্বাদমতো দিয়ে ফেটিয়ে সবজিতে দিন। দু-তিন মিনিট রান্না করুন।

কাঁচাকলার কারি



কাঁচাকলার কারি


উপকরণঃ
১. কাঁচাকলা বড় দেখে ২টো
২. তেল ১ টেবিল চামচ
৩. পেঁয়াজ ১ টা কুচোনো
৪. নারকেল কোরানো ১/২ খানা
৫. হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো প্রতিটা ১/২ চা চামচ
৬. দই ১/২ কাপ ফোড়নের জন্যে
৭. মেথি ৭/৮ দানা
৮. সর্ষে ১/৪ চা চামচ
৯. শুকনো লঙ্কা ২ টো
১০. জিরে ১/৪ চা চামচ
১১. গোলমরিচ ৫/৬ দানা
১২. কারিপাতা ১০/১২ টা
১৩. নুন স্বাদমতো

প্রণালীঃ  খোসা ফেলে কাঁচকলা ডুমো ডুমো করে কেটে নুন জলে ডুবিয়ে রেখে ধুয়ে নিন গরম জল দিয়ে। ১/৪ কাপ জলে কলার টুকরো হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো, নুন দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। কলার সঙ্গে জলটাও যেন শুকিয়ে যায়। নারকেল কোরা, জিরে , গোলমরিচ মিহি বেটে দইতে মিশিয়ে সিদ্ধ করা কলায় ঢেলে দিন।কয়েকটি কারিপাতা দিয়ে ঢিমে আঁচে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দেবেন। ৭/৮ মিনিট ফুটলে নামিয়ে নিন। এবারে কড়াইতে তেল গরম করে শুকনো লঙ্কার টুকরো করে সর্ষে, মেথি, কারিপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিন।সোনালি ভেজে কাঁচকলার তরকারিটা ঢেলে দিন। আঁচ থেকে নামিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন।

ফুলকপির দম
















ফুলকপির দম


উপকরণঃ
১. মাঝারি সাইজের ফুলকপি ১ টা
২. কাজুবাদাম বাটা ১০০ গ্রাম
৩. পেঁয়াজ বাটা ২ টো
৪. ছোটো এলাচ ৪/৫ টা
৫. খোয়া ৫০ গ্রাম
৬. ক্রিম ৫০ গ্রাম
৭. কাঁচালঙ্কা কুচোনো ২ টি
৮. জিরের গুঁড়ো ১ চা চামচ
৯. সাদা তেল ৩ টেবিল চামচ
১০. গরমমশলা ১ চা চামচ
১১. নুন আন্দাজমতো
১২. জল ১ টেবিল চামচ
১৩. চিজ ১ কিউব

প্রণালীঃ  ফুলকপির গোড়া ও পাতা বাদ দিয়ে জলে সামান্য নুন দিয়ে কপিটা একটু ভাপিয়ে নিয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন। তেল গরম হলে ঢিমে আঁচে কপিটা সামান্য লালচে করে ভেজে তেল থেকে তুলে রাখুন। আবার তেল গরম করে তাতে ছোটো এলাচ দিন একটু নেড়ে পেঁয়াজবাটা দিন। সামান্য রং ধরতে আরম্ভ করলে লঙ্কার কুচি, নুন, জিরের গুঁড়ো দিন। কাজু বাদাম বাটা ও ক্রিম দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ শুকিয়ে আসে এবারে খোয়া হাতে ভেঙে ঝুরো ঝুরো করে কড়ায় দিন। এক টেবিল চামচ জল দিয়ে সমস্ত জিনিসটা ভাল করে মিশিয়ে নামান। এবারে ফুলকপিটা একটা তৈলাক্ত পাত্রে বসিয়ে মশলা যেটা তৈরি করেছেন সেটা ফুলকপির ওপরে ঢেলে দিন।ওপরে গরমমশলা ঝরিয়ে দিন। ইচ্ছে হলে কোরানো চিজ দিতে পারেন, তবে আবশ্যিক নয়। ওভেনে ৫ মিনিট বেক করে নিন। ফুলকপির দম তৈরি।

সবজি কারি
















সবজি কারি


উপকরণঃ
১. বেসন ১০০ গ্রাম
২. আলু ১টা
৩. বরবটি ৫/৬ টা
৪. ঢ্যাঁড়শ ৫/৬টা
৫. ছোটো বেগুন ২ টো
৬. তেঁতুল গোলা ১ টেবিল চামচ
৭. গুড় অথবা চিনি ১/২ চা চামচ
৮. জিরে , মেথি, সরষে প্রতিটা ১/৪ চা চামচ
৯. হিং গুঁড়ো ১ চিমটে
১০. ঘি ২ চা চামচ
১১. কাঁচা লঙ্কা কুচোনো ২টি আদা
১২. কুচি ১/২ চা চামচ
১৩. কারিপাতা ৮/১০ টা
১৪. নুন আন্দাজমতো


প্রণালীঃ  বেসন ২ কাপ জলে গুলে ছেঁকে নিন। সব সবজি ধ্যাঁড়শ বাদে লম্বা টুকরো করে কাটুন। ঢ্যাঁড়শ বোটা ফেলে সামান্য চিড়ে আস্তই রাখুন। ঘি-তে জিরে , মেথি, সরষে ফোঁড়ন দিয়ে বেসন গোলাটা ঢেলে দিন। এটা ফুটে উঠলে আদা, কাঁচা লঙ্কা কুচি দিন। সঙ্গে হিং, কারিপাতা, নুন দিন। সবজি সিদ্ধ হয়ে এলে নুন, চিনি, তেঁতুল গোলা টক স্বাদমতো দিতে হবে। সবজিটা নাড়তে হবে, নাহলে কড়াইতে ধরে যাবে।

পটলের মালাইকারি















পটলের মালাইকারি


উপকরণঃ
১. পটল ৮/১০ টা
২. সামান্য হিং
৩. ছোট এলাচ ৩ টে
৪. দারচিনি ২/৩ টুকরো
৫. আদা, হলুদ, লঙ্কা বাটা প্রতিটা ১/২ চা চামচ
৬. নারকেল কুড়িয়ে বেটে নেবেন ১ টেবিল চামচ
৭. নুন  আন্দাজমতো
৮. মিষ্টি আন্দাজমতো
৯. তেল ২ টেবিল চামচ
১০. দই ৫০ গ্রাম

প্রণালীঃ  পটল খোসা ছাড়িয়ে আস্ত রাখবেন। দু’পাশে সামান্য একটু চিড়ে নেবেন। তেল গরম হলে হিং, গরম মশলা ফোঁড়ন দিয়ে পটল দিন। লালচে করে ভাজুন। আদা, হলুদ, লঙ্কা বাটা দিয়ে পটলটা ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। দই, নুন, মিষ্টি দিয়ে আরও ২/৩ মিনিট কষুন। জলটা শুকিয়ে এলে নারকেল বাটা দিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করে এক চামচ ঘি দিন। নামিয়ে সুন্দর ছড়ানো পাত্রে ঢেলে ডাইনিং টেবিলে রাখুন।

আলুরদম















আলুরদম


উপকরণঃ
১. ছোট আলু ৫০০ গ্রাম
২. আদাবাটা ২ চা চামচ
৩. হলুদ গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ
৪. তেঁতুলগোলা দেড় চামচ
৫. জিরে গুঁড়ো ৩ চা চামচ
৬. লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
৭. ভাজা জিরের গুঁড়ো ৩/৪ চা চামচ
৮. সরষের তেল ৩ টেবিল চামচ
৯. নুন আন্দাজমতো

প্রণালীঃ  আলু সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে রাখুন। হলুদ, লঙ্কা , জিরের গুঁড়ো, আদা বাটা, তেঁতুল গোলার সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তেল চড়িয়ে এই মিশ্রণটি দিয়ে ১ মিনিট কষে আলু দিন। ১/২ কাপ জল দিন। নুন দিন আন্দাজ মতো । শুকনো শুকনো হলে নামিয়ে ওপরে জিরের ভাজা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।

আলু কা দম














আলু কা দম


উপকরণঃ
১. আলু ৫০০ গ্রাম,
২. কুকমী আলুরদম মশলা ২০ গ্রাম (৪ চামচ),
৩. তেল ২টেবিল চামচ
৪. নুন ও চিনি প্রয়োজনমতো
৫. কড়াইশুঁটি

প্রণালীঃ অল্প জলে কুকমী আলুরদম মশলা মিক্স মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। আলু আধ সেদ্ধ করে রেখে দিন।কড়াতে তেল দিন।গরম হলে আলু ভেজে নিন।এবারে কুকমী আলুরদম মশলার পেস্ট দিয়ে ভাল করে কষে নিন।অল্প চিনি স্বাদমতো নুন দিয়ে নামিয়ে নিন। ঝটপট খাটনিও কম, তৈরি গরম গরম আলুরদম।

সবজি ভিন্ন স্বাদে

সবজি ভিন্ন স্বাদে

উপকরণঃ
১. পনীর ২০০ গ্রাম
২. ফুলকপি ১ টা
৩. টোম্যাটো ২ টো
৪. লঙ্কা ২টো
৫. নুন  স্বাদ মতো
৬. গোলমরিচ স্বাদমতো
৭. পু্দিনা পাতা কুচোনো ১/২ কাপ
৮. টক দই ৫০ গ্রাম
৯. বিট নুন আন্দাজমতো
১০. ভাজা জিরে গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
১১. সাদা তেল ২ চা চামচ

প্রণালীঃ  সবজিগুলি এমনভাবে কাটুন যাতে শিকে গেঁথে যায়। পু্দিনা পাতা, দই, বিট নুন, জিরে বাদে সব তরকারি, পনীর নুন, গোলমরিচ দিয়ে মেখে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। ফ্রিজ থেকে বার করে শিকে গেঁথে গ্রিল করে নিন। গ্রিল হয়ে গেলে পরিবেশনের পাত্রে রাখুন। পু্দিনা পাতা বেটে দই, বিট নুন একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। সাদা তেল গরম করে দইয়ের মিশ্রণে ঢেলে দিন।প্রয়োঅজনমতো সামান্য জল ঢেলে ফুটিয়ে নিন। ফুটে উঠলে নামিয়ে জিরে গুঁড়ো দিয়ে সবজির ওপরে ঢেলে পরিবেশন করুন।

পোস্ত নারকেল দিয়ে আলুর দম














পোস্ত নারকেল দিয়ে আলুর দম 


উপকরণঃ
১. বড় আলু ৪/৫ টা
২. তেল ৩ টেবিল চামচ
৩. নারকেল কোরা ১ টেবিল চামচ
৪. পোস্ত ৩ চা চামচ
৫. ঘি ২ চা চামচ
৬. আদাবাটা ১/২ চা চামচ
৭. মৌরি ১/৪ চা চামচ
৮. চিনি ১/৪ চা চামচ
৯. কাঁচালঙ্কা ৪/৫ টা
১০. নুন স্বাদ অনুযায়ী

প্রণালীঃ আলু সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে চার টুকরো করে নিন। পোস্ত, নারকেল মিহি করে পিষে নিন। কাঁচালঙ্কা সামান্য চিরে রাখুন। তেল গরম হলে আলু সোনালি করে ভেজে তুলে রাখুন। এবার মৌরি, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে বাটা মশলা দিয়ে ২/৩ মিনিট কষে নিন। এইসঙ্গে ঘি দিয়ে দিন। মশলা ভাজার গন্ধ বেরোলে আলু, নুন, চিনি দিয়ে ১/২ পেয়ালা মতো জল দিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। জল শুকিয়ে তেল ভেসে উঠবে, আলু মশলা জড়িয়ে মাখা মাখা চেহারা হবে। এবারে নামিয়ে ঢেকে রাখুন।

পেঁপের ঘন্ট

















পেঁপের ঘন্ট


উপকরণঃ
১. মাঝারি সাইজের পেঁপে ২টো
২. তেজপাতা ২টো
৩. সাদা তেল ২ টেবিল চামচ
৪. কাঁচালঙ্কা ২টো
৫. নারকেল ১/২ খানা
৬. চিনি ১ চা চামচ
৭. সাদা জিরে ১ চা চামচ
৮. আদা বাটা ২ চা চামচ
৯. নুন স্বাদমতো
১০. ছোটো এলাচ ২টো

প্রণালীঃ  পেঁপে খোসা চাড়িয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। আধখানা নারকেল কুরিয়ে নিন। তেল গরম হলে জিরে , কাঁচালংকা, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁপে কোরানোটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। এরমধ্যে নুন, মিষ্টি, আদাবাটা দিন।জল দেবেন না। পেঁপে সিদ্ধ হয়ে গেলে নারকেল কোরা দিয়ে দু-এক মিনিট নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন।

তরকারির টিক্কা












তরকারির টিক্কা


উপকরণঃ
১. বিন ৫০ গ্রাম
২. আলু ১৫০ গ্রাম
৩. বেবি কর্ণ ২টো
৪. সামান্য আদা কুচি
৫. শুকনো লাল লঙ্কা ১টা
৬. ধনেপাতা কুচোনো
৭. নুন স্বাদমতো
৮. ময়দা আন্দাজমতো
৯. জিরে ভাজা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
১০. তেল প্রয়োজনমতো

প্রণালীঃ  আলু, বিন, কর্ণ সব সিদ্ধ করে নিন। এই সিদ্ধ সবজির সঙ্গে জিরে ভাজার গুঁড়ো, নুন, ধনেপাতা কুচি, লাল লঙ্কা কুচি সব কিছু খুব ভাল করে চটকে মেখে নিন।এবারে কাবাবের আকারে গড়ে শুকনো ময়দায় জড়িয়ে নন স্টিক প্যানে অল্প তেলে কম আঁচে বাদামি করে ভেজে তুলুন। যে কোনও চাটনি অথবা টোম্যাটো সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

পাঁচমিশালি তরকারি










পাঁচমিশালি তরকারি


উপকরণঃ
১. পালং শাক ১ আঁটি
২. টোম্যাটো ৪ টে
৩. মেথিশাক ১ আঁটি
৪. লাউ ১০০ গ্রাম
৫. বেগুন ১ টা কচুর
৬. মুখি ৪/৫ টা
৭. তেঁতুল ১টা লেবুর সাইজের
৮. সিদ্ধ করা ছোলার ডাল ১ পেয়ালা
৯. ঘি ২ চা চামচ
১০. আদা কুচি ১ চা চামচ
১১. হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
১২. ফোড়নের জন্যে জিরে
১৩. মেথি প্রতিটা ১/৪ চা চামচ
১৪. আলু ২ টো
১৫. কাঁচালঙ্কা ৪/৫ টা
১৬. নুন স্বাদ মতো

প্রণালীঃ শাক মিহি করে কুচিয়ে খুব ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। আলু খোসা ছাড়িয়ে চার টুকরো করুন। কাঁচালঙ্কা টুকরো করে রাখুন। লাউ, কচু, বেগুন বড় বড় খণ্ড করুন। টোম্যাটো ছোটো ছোটো করে কাটুন। ঘিয়ে জিরে মেথি ফোড়ন দিয়ে শাকগুলি ভেজে আপাতত সরিয়ে রাখুন। এবার ডাল, আদা, টোম্যাটো, তেঁতুল ছাড়া অন্যান্য সবজি এবং আদা কুচি, হলুদ গুঁড়ো, নুন, কাঁচালঙ্কা দিয়ে সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ হলে ১/২ কাপ জলে তেঁতুল ভিজিয়ে গোলা বার করে নিয়ে ডালে মেশান। এতে শাক ভাজাটা মেশান। ৩/৪ মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে নিন।

বেবি কর্ন কারি



বেবি কর্ন কারি


উপকরণঃ
১. দই ২০০ গ্রাম
২. তেল ২ চা চামচ
৩. বেসন ২ বড় চামচ
৪. লংকা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
৫. কুচোনো পেঁয়াজকলি ১ বড় চামচ
৬. কুচোনো আদা ১ চা চামচ
৭. মেথি ৭/৮ দানা
৮. সর্ষে ১/৪ চা চামচ
৯. আস্ত শুকনো লঙ্কা ৪টে
১০. বেবি কর্ন ৫/৬টা

প্রণালীঃ  দইতে বেসন, আদা কুচি, লংকা গুঁড়ো, নুন আর জল দিয়ে পাতলা করে গুলে নিন। তেলে শুকনো লংকা মেথি সরষে ফোঁড়ন দিন। আদা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, বেবি কর্ন দু টুকরো করে দিন। নুন দিন। ঘন হলে পেঁয়াজ কলি দিয়ে নামিয়ে নিন।

আলুর রায়তা



আলুর রায়তা


উপকরণঃ
১. আলু ৩০০ গ্রাম
২. দই ৫০০ গ্রাম
৩. সর্ষে ১/৪ চামচ
৪. ধনে পাতা
৫. গোলমরিচ পরিমান মতো
৬. নুন স্বাদ মতো

প্রণালীঃ দই অন্ততঃ দুই ঘন্টা কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখুন। তারপরে পাতলা কাপড়ে দইটা ছেঁকে নিন। গরম তেলে সর্ষে ফোঁড়ন দিয়ে ছোট টুকরো করা আলু দেবেন।এর সঙ্গে দিন লঙ্কা গুঁড়ো, গোলমরিচ আর নুন। ঢিমে আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। খেয়াল রাখবেন, আলু সিদ্ধ হবে কিন্তু বাদামি হবে না। এবার এই সমস্ত উপকরণটি দইতে ঢেলে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে দিন।
পরিবেশনের আগে ধনে পাতা দিয়ে সাজিয়ে দিতে ভুলবেন না।

বাঁধাকপির কাটলেট



বাঁধাকপির কাটলেট


উপকরণঃ
১. বাঁধাকপি ৫০০ গ্রাম
২. ছোলার ডালবাটা ৫০ গ্রাম
৩. কুচোনো ধনেপাতা ১ আঁটি
৪. কুচোনো কাঁচালঙ্কা ২টি
৫. পেঁয়াজ বাটা ১ চা চামচ
৬. জিরের গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
৭. লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
৮. বিস্কুটের গুঁড়ো ২০০ গ্রাম
৯. ডিম ১টি
১০. নুন স্বাদ অনুযায়ী
১১. ভাজবার জন্য তেল

প্রণালীঃ  বাঁধাকপি সরু করে কুচিয়ে সামান্য সিদ্ধ করে জল থেকে ছেঁকে নিন। এবারে এর সঙ্গে ডিম এবং বিস্কুটের গুঁড়ো বাদে, আর সব মিশিয়ে নিয়ে কাটলেটের আকারে গড়ে ডিমে ডুবিয়ে, বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে ভাজুন। টোম্যাটো সস অথবা ধনেপাতা, পু্দিনার চাটনি সহযোগে পরিবেশন করুন।

বাঁধাকপির কোপ্তা




বাঁধাকপির কোপ্তা


উপকরণঃ

১. কোপ্তায় যা লাগবে:
২. নারকেল কোরা ১/২ কাপ
৩. বাঁধাকপি খুব মিহি করে কুচোনো ১ কাপ
৪. কাঁচালঙ্কা বাটা স্বাদ অনুযায়ী
৫. নুন, মিষ্টি আন্দাজমতো
৬. চালের গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ
৭. মৌরি বাটা ১/২ চা চামচ
৮. সর্ষের তেল ভাজার জন্য

ঝোলের জন্য যা লাগবে:
১. নারকেলের দুধ ১ কাপ
২. টোম্যাটো ১ টা কুচোনো
৩. আদা বাটা ১ চা চামচ
৪. লঙ্কা গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ
৫. মৌরি বাটা ১/২ চা চামচ
৬. তেজপাতা ১টা
৭. ঘি ২ চা চামচ
৮. জিরের গুঁড়ো ১ চা চামচ
৯. নুন, চিনি আন্দাজমতো
১০. সাদা তেল ২ টেবিল চামচ
১১. আস্ত গরমমশলা এলাচ ২/৩টে,
১২. লবন প্রয়োজন মত
১৩. দারচিনি ১ টুকরো

প্রণালীঃ নারকেল কোরা বেটে নিন। এবার সেটার সঙ্গে কোপ্তার বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে নিয়ে ভালো করে মেখে নিন। তেল গরম করে কোপ্তার মতো গড়ে নিয়ে সোনালি করে ভেজে তুলুন। এবারে গরম তেলে গরমমশলা, তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়ে আদা বাটা, জিরে গুঁড়ো, মৌরি বাটা, লঙ্কাগুঁড়ো, টোম্যাটো কুচি দিন। নুন, মিষ্টি দিয়ে আঁচ কমিয়ে দুঞ্চতিন মিনিট কষুন। কষা হয়ে গেলে নারকেলের দুধ দিয়ে ৩/৪ মিনিট ফোটান। ঘি দিন। পরিবেশন পাত্রে কোপ্তাগুলো সাজিয়ে ওপরে ঝোল ঢেলে দিন।

লঙ্কা দিয়ে ফুলকপি



লঙ্কা দিয়ে ফুলকপি


উপকরণঃ
১. ফুলকপি ১টা
২. পেঁয়াজ ২টো
৩. রসুন ৭/৮ কোয়া
৪. ক্যাপসিকাম ১ টা
৫. কাঁচা লঙ্কা ৫/৬ টা
৬. টোম্যাটো সস ২ টেবিল চামচ
৭. সয়া সস ৩ টেবিল চামচ
৮. নুন, চিনি স্বাদমতো
৯. অ্যারারুট ১/২ চা চামচ
১০. বাদাম তেল ২ টেবিল চামচ

প্রণালীঃ  ফুলকপি ছোটো ছোটো টুকরো করে নিন। পেঁয়াজ, রসুন, ক্যাপসিকাম কুচিয়ে নিন। কাঁচালঙ্কা গোল গোল করে কেটে নিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ, রসুন কুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। সামান্য রঙ ধরলে কাঁচালঙ্কা, ক্যাপসিকাম দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করুন। এরমধ্যে ফুলকপি দিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে নুন, চিনি, সয়া সস, টোম্যাটো সস দিন। সামান্য জল দিন। সিদ্ধ হয়ে এলে অ্যারারুট ২ টেবিল চামচ জলে গুলে কপিতে দিন। মাখামাখা করে নামান।

ডিম-বেগুনের মাখামাখি



ডিম-বেগুনের মাখামাখি 


উপকরণঃ
১. বড় বেগুন ১ টা
২. কাঁচা ২/৩টে
৩. রসুন ৩/৪ কোয়া
৪. পেঁয়াজ ১ টা কুচোনো
৫. ধনেপাতা কুচোনো ১ আঁটি
৬. টোম্যাটো ২ টো ছোটো টুকরো করা
৭. সরষের তেল ২ টেবিল চামচ
৮. ডিম ১টা
৯. চিনি সামান্য
১০. নুন আন্দাজমতো

প্রণালীঃ  বেগুনের গায়ে ফুটো করে আস্ত কাঁচালঙ্কা আর রসুন কোয়া ঢুকিয়ে দিন। সামান্য তেল হাতে নিয়ে বেগুনের গায়ে মাখান। সরাসরি আগুনে পোড়াতে হবে অথবা চাটুর ওপরে রেখে উলটে পালটে পোড়াতে হবে। যখন বেগুন পুরো চুপসে যাবে এবং কালো হবে তখন ঠাণ্ডা জলে ভিজিয়ে পোড়া খোসা ছাড়িয়ে নিন।
এবারে তেল গরম হলে পেঁয়াজ হালকা ভেজে বেগুন দিন, নুন ও ধনেপাতা দিন। খুব ভালো করে নাড়াচাড়া করে টোম্যাটো দিন।ডিমটা সামান্য ফেটিয়ে নিয়ে এরমধ্যে দিয়ে দিন।ভালো করে নাড়াচাড়া করুন যাতে ডিমটা মিশে যায়।
বেশ মাখামাখা হলে নামান।